
| শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 49 বার পঠিত
সংগৃহীত ছবি
সেবার অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের কাছে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে আসতে না আসতেই ইয়ন মরগানের সামনে ইংলিশ এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল– আপনি অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা কি এখনই দেবেন? মুখ শুকিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন মরগান– ‘না, আমি পরের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি এখন’। তারপরের বিশ্বকাপে সেই মরগানের হাতেই বিশ্বকাপ উঠেছিল।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারার পর মরগানের মতো এবার জশ বাটলারকেও শুনতে হলো– ‘আপনার অধিনায়ক থাকা উচিত কি? সরাসরি উত্তর না দিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বরং পাল্টা প্রশ্ন করছেন– ‘অধিনায়কত্বের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আপনি আমাকে প্রশ্ন না করে বরং আমার দলের খেলোয়াড়দের করুন, দেখুন তারা কী উত্তর দেয়।’
বাটলার নেতৃত্ব না ছাড়লেও রেকর্ড বলছে, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মধ্যে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সই সবচেয়ে জঘন্য। কোনো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তাদের মতো পরের বিশ্বকাপেই পাঁচটির মধ্যে চারটিতে হারেনি। ১৯৮৭ সালের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পরের বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরেছিল। ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাও পরের বিশ্বকাপে গিয়ে প্রথম পাঁচটির মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের মতো চ্যাম্পিয়ন দল এবার কিনা মাত্র বাংলাদেশকে হারাতে পেরেছে। স্বভাবতই ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুম।
হাতে থাকা চার ম্যাচ জিতলেও যে তারা সেমিতে যেতে পারবে তারও গ্যারান্টি নেই। ইংল্যান্ড দলের দুর্বলতাটা এবার ঠিক কী? তাদের কি প্রতিভার অভাব রয়েছে? ‘নাহ, আমাদের প্রতিভার কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন– অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে সেখানে। আর সে কারণেই এই রেজাল্ট ভীষণভাবে হতাশ করেছে আমাদের। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট যেভাবে এগিয়েছে, তাদের নিজেদের হতাশা লুকানোর কোনো জায়গা নেই। যদি সামনে কোনো একটু আশা থাকে, সেটা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। এখন কেন আমাদের খারাপ হচ্ছে, সেটার কোনো রহস্য নেই। বিশ্বকাপে আসার আগেও এই ফরম্যাটে আমাদের দারুণ কিছু সাফল্য রয়েছে। কিন্তু মানতেই হবে গত তিন সপ্তাহে আমরা আমাদের সামর্থ্য এবং প্রত্যাশার ধারেকাছে যেতে পারিনি। ভীষণভাবে শকড আমরা।’
ইংল্যান্ডের একাদশ সাজানো নিয়ে নাসির হুসাইনের মতো সাবেকরা সমালোচনা করেছেন। জশ বাটলারের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা জানিয়েছেন অনেকে। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মোট ৯৫ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। ‘দলের কেউ আমার রানগুলো করে দেবে না, কেউ উইকেট তুলে দেবে না। এটা নিজেরই করতে হবে। আর অধিনায়ক হিসেবে আমাকেই সামনে থেকে উদাহরণ দাঁড় করিয়ে সবাইকে এগিয়ে নিতে হবে। সেখানে আমি সামর্থ্যের থেকে অনেকটা দূরে আছি। আমি জানি, অধিনায়ককেই পারফর্ম করতে হবে দল ভালো করতে হলে।’
বাটলার নিজেও যে দুঃখী সে কথা আর লুকানোর চেষ্টা করেননি। বরং নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করেই নিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, বিশ্বকাপে সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আসেনি ইংল্যান্ড। আগেরবার যেমন ২০১৫ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছিল মোট ৮৮টি। এবার সেখানে ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তারা খেলেছে মাত্র ৪২টি। ‘ব্যর্থতার কোনো অজুহাত আমি দেব না। সব দায় আমাদের।’
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের বলা কথাগুলোই আবার মনে করিয়ে দেন বাটলার। ‘আমি আগেই বলেছিলাম, ভারতে এসেছি নতুন কিছু করার জন্য। অতীতে কী করেছিলাম, কেমন করেছিলাম সেটা এখানে মুখ্য না। বাস্তবতা হলো আমরা সেই নতুন শুরুটা করতেই পারিনি।’
Posted ১২:০২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
bankbimarkhobor.com | Mr. Islam