
| রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট | 155 বার পঠিত
ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে
ব্যাংকের ফরেনসিক অডিট হবে। সেজন্য যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের সাথে যুক্ত আছেন, তাদের কিছুদিন একটু বাইরে রাখা হবে,” বলেন চেয়ারম্যান।
গত সরকারের সময়ে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।
শনিবার পর্ষদের জরুরি সভায় তাকে তিন মাসের জন্য ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়াকে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, “ব্যাংকের ফরেনসিক অডিট হবে। সেজন্য যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের সাথে যুক্ত আছেন, তাদের কিছুদিন একটু বাইরে রাখা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ব্যাংক বীমার খবর ডট কমকে বলেন, “ব্যাংকগুলোতে যদি এস আলমের সময়ের কর্মকর্তারা থাকেন, তাহলে অডিটে ম্যানুপুলেশন হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত এমন যে এস আলমের সময়কার কর্মকর্তাদের প্রভাবমুক্ত রেখে সঠিকভাবে এসব ব্যাংকের নিরীক্ষা করা। এজন্যই এমডিকে ছুটিতে রাখা হয়েছে।”
এক সময় এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাকি ব্যাংকগুলোতেও অডিট হবে এবং সেসব ব্যাংকেও এস আলমের সময়কার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ রোববার জরুরি সভা ডেকেছে। অন্য ব্যাংকগুলোর উচ্চ পদেও শিগগিরই পরিবর্তন আসতে পারে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক কোম্পানি আইনে ভেঙে নজিরবিহীনভাবে সাতটি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের শেয়ার দখলে নেয়। সাইফুল আলম তার পরিবারের সদস্য ছাড়াও কিছু আত্মীয়কে একাধিক ব্যাংকের বোর্ডে বসান।
সাইফুল আলম নিজে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ চার ছিলেন বোর্ডে।
তাদের ছেলে আহসানুল আলম, মেয়ে মাইমুনা খানম ও জামাতা বেলাল আহমেদ যথাক্রমে ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। সাইফুল আলমের ভাই, বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়রাও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পর্ষদে ছিলেন।
এস আলম গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের ঋণ নিয়ে আত্মসাৎকরেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতায় পালাবদলের পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। একইভাবে অন্য ব্যাংকগুলোর পর্ষদও বদলে দেওয়া হয়।
Posted ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
bankbimarkhobor.com | Mr. Islam