
| বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ | প্রিন্ট | 57 বার পঠিত
হেভি মেটালকে এগিয়ে নিয়েছিলেন ওজি অসবর্ন
ব্রিটিশ হেভি মেটালের পুরোধা ছিলেন ওজি অসবর্ন। ব্যান্ড তারকার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে তিনি হয়েছিলেন সলো গানের তারকা। এছাড়া টেলিভিশন রিয়ালিটি শোর ক্ষেত্রেও তার নাম সামনের কাতারেই থাকে। ২২ জুলাই মারা গেলেন এ তারকা। পারকিনসনস রোগে ৭৬ বছর বয়সে মারা গেলেন তিনি।
অসবর্নের পরিবারের কাছ থেকে আসা বিবৃতি বলছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি, আমাদের সবার প্রিয় ওজি অসবর্ন মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিলেন। এ সময় আমরা আপনাদের সবার কাছে পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার আহ্বান করছি।’
তিনি মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও পারফর্ম করেছেন। এটিকে ব্ল্যাক সাবাথের সর্বশেষ কনসার্ট বলা হচ্ছিল। নাম ছিল ‘ব্যাক টু দ্য বিগিনিং’। আর কনসার্টটি হয়েছিল বার্মিংহ্যামে। সেখানেই ব্ল্যাক সাবাথের জন্ম। কনসার্টে ব্যান্ডটিকে সম্মান জানানো হয়েছে। কেননা ব্ল্যাক সাবাথের পরেই উঠে এসেছিল মেটালিকা, গানস অ্যান্ড রোজেস, স্লেয়ার, টুল, প্যান্টেরা, অ্যালিস ইন টেইনসসহ অন্যান্য আরো কিছু ব্যান্ড।
২০২২ সালে অসবর্ন তার অসুস্থতা সম্পর্কে জানান, তিনি পারকিনসনসে আক্রান্ত হয়েছেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে একটি বিবৃতিতে তিনি ট্যুর থেকে অবসরের কথা জানান। কারণ হিসেবে ২০১৮ সালে দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান।
বিবৃতিতে অসবর্ন বলেছিলেন, ‘সবকিছুর পর বুঝে উঠতে পারলাম, এখন আর ইউরোপে ট্যুর করার মতো শারীরিক শক্তি আমার নেই। কখনো মনেই করিনি ট্যুর করার দিনগুলো এভাবে শেষ হয়ে যাবে।’
১৯৬৯-৭৯ এক দশক তিনি ছিলেন ব্ল্যাক সাবাথের প্রধান ব্যক্তি। এ ব্যান্ডই প্রথম মেটাল জনরাকে জনপ্রিয় করেছিল। এরপর এক এক করে আরো অনেক মেটাল ব্যান্ডের সূচনা হয়। অন্য অনেক ব্যান্ডের মতো ব্ল্যাক সাবাথের ভেতরেও নানা দ্বন্দ্ব ছিল কিন্তু ব্যান্ডটির অ্যালবাম সব ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পেয়েছিল এবং এখনো ক্ল্যাসিকই মনে করা হয়।
২০০৬ সালে ব্যান্ডটি নিয়ে রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে সমালোচক দেবোরা ফ্রস্ট লিখেছিলেন, ‘ব্ল্যাক সাবাথ রীতিমতো ভর করে ছিল আমাদের ওপর।’
১৯৭৯ সালে ব্ল্যাক সাবাথ থেকে বাদ পড়েন ওজি। এরপর তিনি নিজের সলো ক্যারিয়ার শুরু করেন। মজার ব্যাপার সলো ক্যারিয়ারে আর্থিকভাবে তিনি ব্যান্ডের সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যান। এতই জনপ্রিয় হয়েছিলেন তার স্ত্রী ও ম্যানেজার শ্যারন অসবর্ন একটা ট্যুর প্ল্যান করেন ওজিকে নিয়ে। এর নাম ছিল ওজফেস্ট। দারুণ জনপ্রিয় ও সফল হয়েছিল সেটি। এছাড়া ওজি তার পুরো ক্যারিয়ারে আরো অনেককে ওপরে ওঠার সুযোগ দিয়েছেন। তার হাত ধরে অনেকের ক্যারিয়ার হয়েছিল।
পাশাপাশি তিনি এমটিভিতে একটি রিয়ালিটি শো করেছিলেন। ‘দি অসবর্নস’ নামের এ শো রকস্টারের ঘরের খবর বলেছিল। সে রিয়ালিটি শোটিও জনপ্রিয় হয়। এ নিয়ে টিভি সমালোচক ক্যারিন জেমস লেখেন, ‘দি অসবর্ন দর্শকের জন্য উপভোগ্য এক শো। প্রতিটি পরিবারই এখানে কিছু না কিছু নিজেদের সঙ্গে মেলাতে পারবেন।’
অসবর্নের জীবনে নানা কালো অধ্যায় আছে। ড্রাগ, অ্যালকোহল, দল ভাঙা, কনসার্টে দুর্ব্যবহারের মতো বহু ঘটনার পরও তাকে তার শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। তাকে স্মরণ রেখেছেন। কেননা মেটাল জনরায় তিনি দিয়েছিলেন অনেক কিছু। সেই সঙ্গে তার উপস্থিতিও দর্শককে আমোদিত করত। তাই চলে গিয়েও তিনি এখনো বহু তরুণকে মাতাবেন।
Posted ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
bankbimarkhobor.com | Mr. Islam