ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী পপ স্টার হিসেবে বিবেচিত মাইকেল জ্যাকসন মারা গেছেন ২০০৯ সালে। কিন্তু মৃত্যুর ১৬ বছর পরেও তার নাম সংগীতপ্রেমীদের কাছে শুধু নয়, বিশ্বের বিনোদন জগতের অর্থনীতিতেও সমান প্রভাবশালী। গত বছর মাইকেল জ্যাকসনের আয় ছিল ৬০ কোটি ডলার। তার এ আয় জমা হয়েছে মাইকেল জ্যাকসন এস্টেটের নামে।
২০২৪ সালে মাইকেল জ্যাকসন বাংলাদেশী টাকার হিসাবে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা আয় করেছেন। মৃত এ তারকার আয়ের মূল উৎস ছিল স্ট্রিমিং, লাইসেন্সিং চুক্তি। তবে গত বছরের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল মাইকেলের বায়োগ্রাফি সিনেমা ’মাইকেল’-এর স্বত্ব বিক্রির মাধ্যমে। মাইকেল গত বছর বিশ্বখ্যাত কয়েকজন মৃত সংগীতশিল্পীকে আয়ে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। যেমন ফ্রেডি মারকুরির আয় ছিল ২৫ কোটি ডলার, এলভিস প্রেসলির ৫ কোটি ডলার।
২০০৯ সালে মৃত্যুর পর থেকে মাইকেল জ্যাকসন এস্টেট তার সংগীত ও ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির স্বত্ব থেকে ৩২০ কোটি ডলার আয় করেছে, যা দুনিয়ার অন্য যেকোনো মৃত সেলিব্রিটির চেয়ে বেশি। ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণকারী মাইকেল জ্যাকসন কিশোরে পৌঁছানোর আগেই সংগীত জগতে প্রবেশ করেন। শুরুতে নিজের ভাইবোনদের নিয়ে একটা গানের দল করেছিলেন। মাইকেল ১৮ বছর বয়সে একক ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে থ্রিলারের মতো হিট গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত দুনিয়ায় ঝড় তোলেন। আশি ও নব্বইয়ের দশকে মাইকেল নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলিব্রিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আন্তর্জাতিক চার্টে তার গান শীর্ষস্থান নিয়ে নিত হরহামেশাই।
২০০৯ সালে নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মারে কর্তৃক প্রোপোফলের অতিরিক্ত ডোজে মাইকেল মারা যান। এ চিকিৎসককে ২০১১ সালে অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। লস অ্যাঞ্জেলেসের স্ট্যাপলস সেন্টারে অনুষ্ঠিত মাইকেলের শেষকৃত্য টেলিভিশনে দেখেছিল ২৫০ কোটির বেশি মানুষ।