বৃহস্পতিবার ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

নতুন প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ভাটা

অর্থনীতি ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ০৬ জুলাই ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   537 বার পঠিত

নতুন প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ভাটা

সংগৃহীত ছবি

২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। তবে একই বছরে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের (গ্রিনফিল্ড ইনভেস্টমেন্ট) জন্য যে পরিমাণ অর্থের ঘোষণা দিয়েছেন, তা ২০২১ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কম।

এদিকে ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের মোট স্থিতি কমে গেছে। এর পরিমাণ ২ হাজার ১১৬ কোটি ডলার। আগের বছর ছিল ২ হাজার ১৫৮ কোটি ডলার। স্থিতি কমে যাওয়ার মানে হলো, গত বছর বিনিয়োগ যা এসেছে, তার তুলনায় প্রত্যাহার হয়েছে বেশি।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্ট-২৩’ এ এসব তথ্য রয়েছে। গতকাল প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে সব দেশের বিনিয়োগ আসার এবং বহির্বিশ্বে প্রত্যেকের বিনিয়োগ করার ২০২২ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান রয়েছে। ২০২২ সালে সারাবিশ্বে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১২ লাখ ৯ হাজার ৪৭৩ কোটি ডলার। আগের বছরের চেয়ে যা ১২ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং ঋণের চাপ এর মূল কারণ। এসডিজি বাস্তবায়নের বিনিয়োগে ঘাটতি ২০১৫ সালের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়ে সংস্থাটি টেকসই জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

আঙ্কটাডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত বছর বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩৪৮ কোটি ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যার পরিমাণ প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে যা ২০ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে আসে প্রায় ২৮৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত ৫ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৩৬১ কোটি ডলারের সর্বাধিক বিনিয়োগ এফডিআই এসেছিল।

বাংলাদেশে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ ঘোষণা আগের বছরের চেয়ে অনেক কমেছে। ২০২২ সালে গ্রিনফিল্ড ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ঘোষণার পরিমাণ ছিল ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের বছর যা ছিল ১০৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০১৯ সালে সর্বাধিক ৫৭৬ কোটি ডলারের ঘোষণা ছিল। গ্রিনফিল্ড ইনভেস্টমেন্ট বলতে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খুলে একেবারেই নতুন কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগকে বোঝায়। নতুন প্রকল্পের ঘোষণা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হওয়ার অন্যতম নির্দেশক। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হলে অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি থাকতে হয় যে, প্রাথমিক পর্যায়েই তারা যেন বুঝতে পারে সবকিছু প্রস্তুত আছে।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদনের বিষয়ে গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশে ২০২২ সালে বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগের অঙ্ক কভিডের আগের সময়ে ২০১৮ সালকে অতিক্রম করতে পারেনি। এর মানে এখনও উত্তরণ পর্যায়ে রয়েছে।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের অংশ আরও বেড়ে ৮৬ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশে এসেছে মাত্র ৬ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৮ সালে যা ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। বাংলাদেশ আঞ্চলিক উৎপাদন নেটওয়ার্কের অংশ হতে পারছে না, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কিংবা পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে। আবার এককভাবেও বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। বিনিয়োগ আকর্ষণে নীতি-কাঠামো যত উদার, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঠিক ততটুকু পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলেও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে পিছিয়ে আছে। শুধু জমি দিলেই হবে না, অন্যান্য অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি

দক্ষিণ এশিয়ায় সার্বিকভাবে এফডিআই বেড়েছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতে ২০২২ সালে ৫ হাজার ৭৩৭ কোটি ডলারের বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। পাকিস্তানে বিনিয়োগ এসেছে ২১৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম। শ্রীলঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। অন্যদিকে নেপালে কমেছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ জুলাই ২০২৩

bankbimarkhobor.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
মোঃ ইসলাম শেখ
কার্যালয়

৭৯, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড, (৩য় তলা, বাম দিক), সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭

01760742336

[email protected]