শুক্রবার ১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পণ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না সেবা রপ্তানি

অর্থনীতি ডেস্ক   |   মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   57 বার পঠিত

পণ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না সেবা রপ্তানি

সংগৃহীত ছবি

রপ্তানিতে পণ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না সেবা খাত। মোট রপ্তানিতে সেবা খাতের অবদান এখনও ১০ শতাংশের কম। কয়েক বছর ধরে সেবা রপ্তানি ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেবা রপ্তানি কমেছে ১৬ শতাংশের মতাে। রপ্তানি নেমে এসেছে সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের নিচে। বাস্তবতা অনুযায়ী সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা কম করে ধরা হয়। সেই লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হয়নি বিগত কোনো অর্থবছরে। বরং যেসব সেবা রপ্তানি করা যেত সেগুলোর কোনো কোনোটি এখন আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরও লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ১৭ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছর সেবা রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি ১০৫ কোটি ডলার আয় এসেছে পরিবহন খাত থেকে। আকাশ, সমুদ্র, সড়ক ও রেলপথের পরিবহন মিলে এই রপ্তানি আয় এসেছে গত অর্থবছরে। এই চারটির মধ্যে আকাশপথের সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার। সমুদ্রপথে পরিবহন সেবার রপ্তানি আয় ৮৩ কোটি ডলার। সবচেয়ে পিছিয়ে রেলপথ। রেলের পরিবহন সেবা থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে মাত্র ১০ লাখ ডলার।
সেবা রপ্তানিতে দ্বিতীয় বড় খাত হচ্ছে নির্মাণ। গত অর্থবছর এ খাত থেকে মোট ১১৭ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি ডলার আয় এসেছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসেবা রপ্তানি থেকে। এ খাতের কম্পিউটার সেবা যেমন বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, ডেটা প্রসেসিং ও পরামর্শ সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে ৬০ কোটি ডলারের মতো। সেবা রপ্তানির তালিকায় আরও রয়েছে পর্যটন, ব্যাংক-বীমা ও মেধাস্বত্ব। এছাড়া বিদেশি বিমান, জাহাজ কিংবা অন্যান্য পরিবহন বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি নিলে সেটিও সেবা রপ্তানির অন্তর্ভুক্ত। ২০২২ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতে অটোমোবাইল, এভিয়েশন, যোগাযোগ, ওয়্যারহাউস, সুপারশপ, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদিকে সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রপ্তানিতে পণ্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না সেবা খাত। মোট রপ্তানিতে সেবা খাতের অবদান এখনও ১০ শতাংশের কম। কয়েক বছর ধরে সেবা রপ্তানি ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেবা রপ্তানি কমেছে ১৬ শতাংশের মতাে। রপ্তানি নেমে এসেছে সাড়ে ৭০০ কোটি ডলারের নিচে। বাস্তবতা অনুযায়ী সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা কম করে ধরা হয়। সেই লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হয়নি বিগত কোনো অর্থবছরে। বরং যেসব সেবা রপ্তানি করা যেত সেগুলোর কোনো কোনোটি এখন আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরও লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ১৭ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছর সেবা রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি ১০৫ কোটি ডলার আয় এসেছে পরিবহন খাত থেকে। আকাশ, সমুদ্র, সড়ক ও রেলপথের পরিবহন মিলে এই রপ্তানি আয় এসেছে গত অর্থবছরে। এই চারটির মধ্যে আকাশপথের সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার। সমুদ্রপথে পরিবহন সেবার রপ্তানি আয় ৮৩ কোটি ডলার। সবচেয়ে পিছিয়ে রেলপথ। রেলের পরিবহন সেবা থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে মাত্র ১০ লাখ ডলার।
সেবা রপ্তানিতে দ্বিতীয় বড় খাত হচ্ছে নির্মাণ। গত অর্থবছর এ খাত থেকে মোট ১১৭ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ কোটি ডলার আয় এসেছে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসেবা রপ্তানি থেকে। এ খাতের কম্পিউটার সেবা যেমন বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, ডেটা প্রসেসিং ও পরামর্শ সেবা রপ্তানি থেকে এসেছে ৬০ কোটি ডলারের মতো। সেবা রপ্তানির তালিকায় আরও রয়েছে পর্যটন, ব্যাংক-বীমা ও মেধাস্বত্ব। এছাড়া বিদেশি বিমান, জাহাজ কিংবা অন্যান্য পরিবহন বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি নিলে সেটিও সেবা রপ্তানির অন্তর্ভুক্ত। ২০২২ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতে অটোমোবাইল, এভিয়েশন, যোগাযোগ, ওয়্যারহাউস, সুপারশপ, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদিকে সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পণ্য রপ্তানি বাড়লেও সেবা রপ্তানি কেন কমছে– জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, সেবা রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ এ খাতে যথেষ্ট মনোযোগের অভাব। সেবার মান বিশ্বমানের না হওয়ায় রপ্তানি সে হারে বাড়ছে না। গত অর্থবছরে সেবা রপ্তানি কমার কারণ অবশ্য ভিন্ন। অতিমারি করোনাকালে বৈশ্বিক পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে গত দুই অর্থবছর পরিবহন সেবা রপ্তানি থেকে বেশি আয় সম্ভব হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ খাতের আয়ও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা ইপিবির তথ্যের চেয়ে সেবার প্রকৃত রপ্তানি আরও বেশি।

ইপিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সেবা রপ্তানিতে মানের উন্নয়ন খুব বেশি জরুরি। যেমন– দেশের চিকিৎসাসেবা উন্নত হলে এ দেশে সেবা নিতে আসত বিদেশিরা। এতে সেবা রপ্তানি বাড়ত। এখন হচ্ছে তার উল্টো। চিকিৎসাসেবা নিতে বিদেশে যেতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। এর অর্থ সেবা রপ্তানির পরিবর্তে আমদানি করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষাসহ অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। তাঁর মতে, ব্যবসায়িক স্বার্থে বেসরকারি খাতকেই এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সেবা রপ্তানিতে খুব বেশি কিছু করার নেই।

চলতি অর্থবছর পণ্য ও সেবা মিলে ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার কোটি ডলার। গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ১২ শতাংশের মতো বেশি।
পণ্য রপ্তানি বাড়লেও সেবা রপ্তানি কেন কমছে– জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, সেবা রপ্তানিতে পিছিয়ে থাকার প্রধান কারণ এ খাতে যথেষ্ট মনোযোগের অভাব। সেবার মান বিশ্বমানের না হওয়ায় রপ্তানি সে হারে বাড়ছে না। গত অর্থবছরে সেবা রপ্তানি কমার কারণ অবশ্য ভিন্ন। অতিমারি করোনাকালে বৈশ্বিক পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে গত দুই অর্থবছর পরিবহন সেবা রপ্তানি থেকে বেশি আয় সম্ভব হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ খাতের আয়ও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা ইপিবির তথ্যের চেয়ে সেবার প্রকৃত রপ্তানি আরও বেশি।

ইপিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সেবা রপ্তানিতে মানের উন্নয়ন খুব বেশি জরুরি। যেমন– দেশের চিকিৎসাসেবা উন্নত হলে এ দেশে সেবা নিতে আসত বিদেশিরা। এতে সেবা রপ্তানি বাড়ত। এখন হচ্ছে তার উল্টো। চিকিৎসাসেবা নিতে বিদেশে যেতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। এর অর্থ সেবা রপ্তানির পরিবর্তে আমদানি করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষাসহ অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। তাঁর মতে, ব্যবসায়িক স্বার্থে বেসরকারি খাতকেই এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সেবা রপ্তানিতে খুব বেশি কিছু করার নেই।

চলতি অর্থবছর পণ্য ও সেবা মিলে ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার কোটি ডলার। গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ১২ শতাংশের মতো বেশি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

bankbimarkhobor.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
মোঃ ইসলাম শেখ
কার্যালয়

৭৯, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড, (৩য় তলা, বাম দিক), সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭

01760742336

[email protected]