
ব্যাংক ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 57 বার পঠিত
সংগৃহীত ছবি
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসক্রো সার্ভিস নামের যে বিশেষ সেবা চালু করা হয়েছে, সেটির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এবং ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরা থাকবেন।
গতকাল সোমবার এফবিসিসিআই ও ইক্যাবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বালাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ও ইক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, ইক্যাবের পরিচালক ও অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘দারাজ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাসফিন আলম, ই-ক্যাব পরিচালক মো. ইলমুল হক সজীব, অনন্য রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল এফবিসিসিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বৈঠকে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এসক্রো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রাহকদের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে এবং প্রতারণা এড়াতে ‘মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং ও এসক্রো সেবা নীতিমালা ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই উদ্যোগকে আরও সংশোধিত ও এর বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আলোচনায় ইক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের ই-কমার্স খাত সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এ খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ই-কমার্স খাতের সহযোগিতায় সবসময় পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শমী কায়সার আরও বলেন, বৈশ্বিক মার্কেটে বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছু কাজ করতে চান তারা। এ ক্ষেত্রে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স মডিফিকেশন অত্যন্ত জরুরি। ই-কমার্স খাতে এখনও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এটি দূর করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অংশীজনকে নিয়ে পলিসি সামিট করবে এফবিসিসিআই।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স খাত এখনও নতুন। সম্ভাবনাময় এ খাতে এখনও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। সব বাধা অতিক্রম করে শিগগিরই ই-কমার্স খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Posted ১২:১৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
bankbimarkhobor.com | Mr. Islam