
অর্থনীতি ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 45 বার পঠিত
সংগৃহীত ছবি
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা বেড়েছে। তবে সর্বশেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কমেছে তাদের নিট মুনাফা। যদিও সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির গ্রাহক ৭ লাখ ৬১ হাজার বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পরিচালন আয়ও।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। এতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১৯ টাকা ৫৪ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ১৫ পয়সা হয়েছে।
তবে সর্বশেষ প্রান্তিকের ইপিএস কমে ৫ টাকা ৫৩ পয়সায় নেমেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৭২ পয়সা। টাকার অঙ্কে এ সময়ের নিট মুনাফা গত বছরের ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা থেকে কমে ৭৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকায় নেমেছে, অর্থাৎ নিট মুনাফা কমেছে ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের পরিচালন আয় হয়েছে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ পরিচালন আয় প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা, বা ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। পরিচালন আয় বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক ব্যয় প্রায় অপরিবর্তিত থাকার পরও নিট মুনাফা কমার কারণ অর্থায়ন, আয়কর এবং বিবিধ খাতের খরচ বৃদ্ধি।
আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও রাজস্ব আয় বেড়েছে। সহজ ডেটা পোর্টফোলিও, ব্যক্তিগত অফার ও অত্যাধুনিক ডিজিটাল সক্ষমতার মাধ্যমে গ্রাহকদের নানা ধরনের চাহিদা পূরণ করায় ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার বেড়েছে, যা রাজস্ব বাড়তে সহায়ক হয়েছে।
সিএফও ইয়েন্স বেকার জানান, এ বছরের প্রথম ৯ মাসে কর, ভ্যাট, ডিউটি, লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ ফি ইত্যাদি বাবদ মোট ৯ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে গ্রামীণফোন, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৮০ শতাংশ। তিনি বলেন, তার পরও ফোরজি নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও ২৬০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার বাড়াতে গত প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ২৭৮ কোটি টাকা মূলধনি বিনিয়োগ করেছে। এতে গত সেপ্টেম্বর শেষে ফোরজি সাইটের সংখ্যা ২১ হাজারে উন্নীত হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ৯৭ দশমিক ৯০ শতাংশ মানুষকে ফোরজি কাভারেজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
Posted ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
bankbimarkhobor.com | Mr. Islam