শনিবার ১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সতর্কতার পরও ভুলে ভরা পাঠ্যবই, ‘কৈশোরের কথামালা’য় আপত্তি

শিক্ষা ডেস্ক   |   মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৪   |   প্রিন্ট   |   82 বার পঠিত

সতর্কতার পরও ভুলে ভরা পাঠ্যবই, ‘কৈশোরের কথামালা’য় আপত্তি

সংগৃহীত ছবি

বছরের প্রথম দিন প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছে সরকার। নতুন বই পেয়ে খুশি খুদে শিক্ষার্থীরা। তবে বাংলাদেশে নতুন বই মানেই যেন ভুল থাকবেই। আর কারিকুলাম যদি নতুন হয় তবে এ ভুলের সংখ্যা হয় অগণিত।

এবার প্রাথমিক স্তরে ২য় শ্রেণি আর মাধ্যমিকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামে বই দেওয়া হয়েছে। এসব বইয়ে নানা ভুলভ্রান্তি, বাক্য গঠনে অসঙ্গতির তথ্য পাওয়া গেছে।

আবার অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হয়েছে খুবই ‘খোলামেলা’ ভাষায়। যেখানে আপত্তিকর অনেক শব্দ রয়েছে। যা নিয়ে চরম আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর থেকে নতুন কারিকুলামে বই দেওয়া শুরু হয়। ওই বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ২২টি বইয়ে ৪২১টি ভুল-ভ্রান্তির সত্যতা পায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ভুলগুলো সংশোধন করে এপ্রিল মাসে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে সংশোধনী দেওয়া হয়। শিক্ষকরা সংশোধিত সিলেবাসে বাকি বছর শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। তড়িঘড়ি করে নতুন কারিকুলাম চালুর কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

যেসব ভুল পাওয়া গেছে

এবার সপ্তম ও ৮ম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের বই দেওয়া হয়েছে। এসব বইয়ে বড় ধরনের ভুল না পেলেও বানান, বাক্য গঠনে অসঙ্গতির মতো বিষয় পাওয়া গেছে। যদিও নতুন বইগুলোতে লেখা হয়েছে— ‘বাংলা একাডেমির যে বানান নীতি রয়েছে তা অনুসরণ করে’।

নবম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বইয়ের ভূমিকায় সহযোগিতা বানান লেখা হয়েছে সহযোগীতা। এখানে ‘‘ি’’-এর স্থলে ‘‘ ী’’ ব্যবহার করা হয়েছে।

একইভাবে এই বইয়ের ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান মানা হয়নি। যেমন ‘ভাতখণ্ড’ কে লেখা হয়েছে ‘ভাতখন্ড’।

পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়— বাক্যটি এই বইয়ে ১৫ বার ব্যবহার হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ বার ‘পৃখিবী’ লেখা হয়েছে। এখানে ‘থ’ স্থলে ‘খ’ অক্ষর লেখা হয়েছে। আরেক জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিকের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানিক, পাকিস্তানকে লেখা হয়েছে পকিস্তান।

অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে সুস্থ বানান লেখা হয়েছে সুস্থ্য‌। ‘য’ ফলা ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভুল। এ ছাড়া বাক্য গঠনেও অনেক ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের পাণ্ডুলিপি তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে। এজন্য কিছু ভুল থাকতে পারে। ভুলগুলো চিহ্নিত করার পর সংশোধন করে আগামীতে আবার বই ছাপানো হবে। বড় ধরনের কোনো ভুল পাওয়া গেলে তা কারেকশন আকারে শিক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারা সেই মোতাবেক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাবেন।

অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে আপত্তিকর অধ্যায়

অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে ‘কৈশোরের কথামালা’ অধ্যায়ে ১৬টি পৃষ্ঠা রয়েছে। প্রত্যেক পৃষ্ঠায় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো খোলামেলাভাবে আলোচনা করা হয়েছে। একটি ছেলে ও একটি মেয়ের নির্দিষ্ট বয়সের পর তাদের শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো কীভাবে হয় তা গল্প দিয়ে বোঝানো হয়েছে। গল্পের পর তাদের কুইজ-উত্তর লেখার অপশন রাখা হয়েছে।

শিক্ষাবিদরা শিক্ষার্থীদের শারীরিক পরিবর্তনের এ বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোকে স্বাগত জানালেও যে ভাষায় তা উপস্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তারা বলছেন, এই অধ্যায়টা কিশোর-কিশোরীদের বয়স উপযোগী হয়নি। এমনকি যেসব ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা আমাদের দেশের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পাঠ্য পুস্তকের মাধ্যমে বয়ঃসন্ধিকালের শিক্ষা দেব, এটা যেমন ঠিক তেমনি সেটা যেন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট, পরিবেশ পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে হয় সেটাও দেখা উচিত। কিন্তু অষ্টম শ্রেণির বইয়ের একটি অধ্যায়ে বিষয়টিকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা খুবই দৃষ্টিকটু ও আপত্তিকর।’

তিনি বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক গঠন ও পরিবর্তনের বিষয়গুলো যেসব ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে তা আমাদের সমাজে গ্রহণযোগ্য তো নয়ই, বরং এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। এসব অধ্যায় যখন একজন পুরুষ শিক্ষক মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন কিংবা একজন নারী শিক্ষক যখন ছেলেদের পড়াবেন তখন তিনি কি ক্লাসে পড়াতে পারবেন?’

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে ভুল কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সেটা বাক্যগত হোক বা বানানগত। কারণ, একজন শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের শব্দ ও বাক্যগঠন সারা জীবন অনুসরণ করে। বারবার এসব ভুল হওয়ার কারণ যারা বানান বা বাক্যগুলো লিখেছেন বা দেখেছেন তারা হয়ত যথাযথভাবে এগুলো দেখছেন না অথবা তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে।’

কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এখানে লজ্জার কিছু নেই। বিষয়টা প্র্যাকটিক্যাল হচ্ছে, সেটা লুকিয়ে পড়িয়ে তো লাভ নেই। তাই সরাসরি পড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু কিশোর-কিশোরীদের জানাতে চাই, তাই লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে ভাষাগত বিষয়গুলোতে যদি কোনো আপত্তি উঠে থাকে তা আমরা সংশোধন করব, সেই সুযোগ তো থাকছেই।’

কৈশোরের কথামালা অধ্যায়ে যা আছে

এই অধ্যায়ে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক পরিবর্তনজনিত নানা বিষয় উঠে এসেছে। ১৬ পৃষ্ঠার এ অধ্যায়জুড়ে মেয়েদের মাসিক বা ঋতুস্রাব, কিশোরদের শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়ে ‘খোলামেলা’ বাক্য লেখা হয়েছে।

যেমন- ৭৭ পৃষ্ঠায় মেয়েদের মাসিক বিষয়ে বলা হয়েছে, মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের জীবনে স্বাভাবিক একটি বিষয়। প্রতি মাসে জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণকে মাসিক বলে। প্রত্যেক মেয়ের বয়ঃসন্ধিকালের একটি সময়ে ঋতুস্রাব শুরু হয়। কার কখন শুরু হবে, সেটি নির্ভর করে তার শারীরিক গঠন, পুষ্টি এবং বংশগতির বৈশিষ্ট্যের উপর। সাধারণত ১০-১৬ বছরের মধ্যেই প্রতিটি মেয়ের মাসিক শুরু হয়ে যায়। যদি কারো স্তনের বিকাশ শুরু হওয়ার তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে মাসিক শুরু না হয় অথবা ১৬ বছর পার হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। ঋতুস্রাবকালীন হালকা ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক।

এ ছাড়া, শরীরে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের জরায়ুর সংকোচন প্রসারণ হয়ে থাকে। যার ফলে এই ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় এই ব্যথার কারণে কেউ কেউ দিনের স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। তলপেটে গরম সেঁক দিলে ব্যথার উপশম হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা বমি করা ইত্যাদি লক্ষণও থাকতে পারে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে একটি ছেলে বা মেয়ের কী কী পরিবর্তন হয় তা এমনিতেই শিখতে পারে। বয়সের তালে তালে সে শিখে যায়। এছাড়া পরিবারও শেখাতে পারে। এটার জন্য বইয়ের একটি অধ্যায় মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখে শেখাতে হয় না। শারীরিক, দৈহিক ও মানসিক কী পরিবর্তন হবে; সেটা অভিভাবক লক্ষ্য রাখবে। তার মন কখন উতাল-পাতাল হবে সব কি বইয়ে শেখানোর জিনিস? এগুলো জীবন চক্রের মধ্য দিয়ে সে এমনিতেই শিখে যাবে।’

অষ্টমের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের চার গল্পেও আপত্তি ভাষা ব্যবহার

গল্প-১

সাথীর মন ভালো না। তার গতকাল থেকে ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে। ঋতুস্রাবের সময় তার শরীরে খুব অস্বস্তি হয়। পেট ব্যথায় শরীর অসাড় হয়ে যায়। মা তাকে শুধু বলেছে এসব কথা কাউকে বলা যাবে না, এগুলো খুবই মেয়েলি ব্যাপার, কেউ যেন বুঝতে না পারে। তাই সে তার এই শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে খুবই মানসিক অশান্তিতে ভোগে। তার মনে হয় সবাই যেন তার দিকে তাকিয়ে আছে, তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। সে স্কুলে যেতে চায় না, সারাদিন নিজের রুমে বসে থাকে। মাঝে মাঝে তার কান্না পায় ও রাগ হয় এটা ভেবে তার সাথেই কেন এমন হচ্ছে! কিন্তু আগামীকাল তো তার স্কুলে পরীক্ষা। তার তো স্কুলে না গিয়ে উপায়ও নেই! তার এই অবস্থায় পড়াশুনা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কী হবে ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছে না।

গল্প-২

আরিফ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান এবং একটু চঞ্চল স্বভাবের ছেলে। বিদ্যালয়ে ওর অনেক বন্ধু। আরিফের খাবারের প্রতি আকর্ষণ একটু বেশি, বিশেষ করে বাইরের খাবারের প্রতি। আর দিন দিন ওর ওজন বাড়তে শুরু করেছে। খেলাধুলায় ওর বন্ধুরা ওকে নিতে চায় না। ওকে মোটা বলে ক্ষেপায়। বন্ধুদের এ ধরনের আচরণ ওকে খুব কষ্ট দেয়। ও নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নেয়। অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর আর একটা সমস্যা ওকে ঘিরে ধরেছে। ওর মুখে অনেক ব্রণ উঠেছে। খুব অস্বস্তিতে পড়ে ও। ব্রণ খোঁচানো ওর একটা বদঅভ্যাস হয়ে যায়। ফলে মুখে ব্রণগুলো আরও বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। বন্ধুরা ওকে নিয়ে হাসাহাসি করবে— এ নিয়ে ও চিন্তায় পড়ে যায়। ইদানীং সে অনেকটাই বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। মানসিকভাবে খুবই বিষণ্ন থাকে।

গল্প-৩

নিশি পড়ালেখায় খুব মনোযোগী। ইদানীং নিশির মনে একটা ইচ্ছা উঁকি দিচ্ছে। তা হলো জুডো শিখবে। এটা আত্মরক্ষামূলক খেলা। এটা যেহেতু বিদ্যালয়ে শেখার সুযোগ নেই তাই তাকে দূরে গিয়ে সেন্টারে শিখতে হবে। ওর বান্ধবী কেয়াও জুডো শেখার জন্য ঐ সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। আর জুডো শেখার কথাটা বাবা-মাকে বলতেই ওর পড়ার ক্ষতি হবে কারণ দেখিয়ে তারা সরাসরি না করে দেন। এতে নিশির খুব মন খারাপ হয়। নিশি তার মা-বাবার সাথে কথা প্রায় বন্ধ করে দেয়। ফলে শুরু হয় নিশির সাথে তার মা-বাবার মনোমালিন্য….

গল্প-৪

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ক বড়ুয়া ভাইবোনদের মধ্যে ছোট। বাবা-মার আদরেই ও বড় হয়েছে। ছোটবেলা থেকে একটু অভিমানী স্বভাবের। ওর পরিবারের লোকজন এটা জানত। তাই ওকে প্রশ্রয়ও দিত। আর ছোটবেলা থেকেই কেউ ওকে যদি অবহেলা করত তাহলে কেঁদে ফেলত। এমনকি খেলাধুলায় হেরে গেলে, মনমতো কিছু না পেলেই মন খারাপ করত এবং কাঁদত। যা নিয়ে ওর ভাই বোন, বন্ধু এমনকি মা-বাবাও ক্ষেপাত। বলত ওর কান্না করা ঠিক না। কান্না ভালো ছেলেদের মানায় না। মেয়েরাই শুধু কান্না করে। কিন্তু তারপরও অর্ক কান্না চেপে রাখতে পারত না। আর এজন্য সে হীনমন্যতায় ভুগত।

এবারও ভুল এনসিটিবিকে জানানোর আহ্বান

দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম— এই চার শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে। নতুন কারিকুলামের এসব শ্রেণির বইয়ে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে জানাতে বলেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এনসিটিবি জানিয়েছে, আমাদের অনুরোধ পাঠ্যপুস্তকে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা এসব পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো প্রকার পরামর্শ থাকলে ই-মেইল- [email protected]। ঠিকানা: পাঠ্যপুস্তক ভবন, ৬৯-৭০, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ পাঠাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে তিন শ্রেণিতে নতুন বই দেয় সরকার। সে সময় ভুলের সংখ্যা দাড়াঁয় পৌনে ৭০০’র বেশি। এরপর দুটি কমিটি প্রায় চার মাস কাজ করে দুই শ্রেণিতে ২২টি বইয়ে ৪২১টি ভুল-ভ্রান্তির সত্যতা পায়। পরে ভুলগুলো সংশোধন করে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে সংশোধনী দেওয়া হয়। শিক্ষকরা সংশোধিত সিলেবাসে বাকি বছর পড়াশোনা করান।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:১৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৪

bankbimarkhobor.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
মোঃ ইসলাম শেখ
কার্যালয়

৭৯, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড, (৩য় তলা, বাম দিক), সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭

01760742336

[email protected]