
| মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 78 বার পঠিত
ইউরোপে কমতে পারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম
ইউরোপের দেশগুলোয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ফেব্রুয়ারির শুরুতে গত দুই বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। তবে এখন তা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। শীতকাল শেষে সাধাণরত প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা কমে যায়। তাই সামনের দিনগুলোয় জ্বালানি পণ্যটির দাম আরো কমে আসতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এনার্জি থিংক ট্যাংক এমবারের দেয়া তথ্যানুসারে, ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। মার্চের শুরুতেও তা আগের বছরের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে মার্চের শেষের দিকে ঘর উষ্ণ রাখার জন্য যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তার চাহিদা কমে যায়। এছাড়া সামনের দিনগুলোয় সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়তে পারে। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা আরো যাবে।
২০১৫-২৪ সাল পর্যন্ত এপ্রিল-জুন প্রান্তিক ছিল প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বছরের সর্বনিম্ন সময়। এ সময় জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় উৎপাদন গড়ে ২৫ শতাংশ কমেছে। ২০২৪ সালে প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এ বছর সেই হার আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈশ্বিক বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা এলএসইজির তথ্যমতে, অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদায় শিল্প খাতের প্রভাব রয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের বাইরে শীর্ষ ইউরোপীয় গ্রাহকদের মধ্যে রাসায়নিক কারখানা ও সিমেন্ট উৎপাদনকারীরা রয়েছেন। তবে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় কমছে রাসায়নিক, সার, ইস্পাত ও প্লাস্টিকের মতো শিল্পোৎপাদন। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা কমছে। কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে জার্মানির শিল্পোৎপাদন।
এলএসইজি বলছে, ইউরোপে চাহিদা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ দাম বেড়ে যাওয়া। ২০২৪ সালে তুলনায় এ বছর জার্মানিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৪৯ শতাংশ বেড়েছে। নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও ইতালিতেও বেড়েছে গ্যাসের দাম। ফলে তীব্র ব্যয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন গ্রাহকরা।
Posted ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
bankbimarkhobor.com | Mr. Islam