শুক্রবার ১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন

অর্থনীতি ডেস্ক   |   মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   146 বার পঠিত

দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন

ফাইল ছবি

রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে আতঙ্কে মানুষ। নানা ইস্যুতে অর্থনীতিও সংকটে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কোম্পানিগুলোর মুনাফায়। সর্বশেষ প্রান্তিকে মুনাফা কমার তথ্য দিচ্ছে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি। এর মধ্যে গতকাল সোমবার ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইর কেনাবেচা সোয়া ১০০ কোটি টাকা বেড়ে প্রায় ৫৯৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ লেনদেন ২০ সেপ্টেম্বরের পর বা গত দেড় মাসের সর্বোচ্চ।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে ১১০ কোম্পানির ১ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ২৫টি বেশি। এ বাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩১৫টির কেনাবেচা হয়েছে। ক্রেতার অভাবে ৭৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কোনো কেনাবেচা হয়নি।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, হঠাৎ বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কোম্পানির। রোববার এ কোম্পানির ২ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। সোমবার তা বেড়ে ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। দেশবন্ধু পলিমারের লেনদেনও ২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বেড়ে ৩৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বিডি মনোস্পুল পেপারের লেনদেন প্রায় ১০ কোটি টাকা বেড়ে ১৮ কোটি টাকা হয়েছে। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের লেনদেন সাড়ে ৯ কোটি টাকা হয়েছে, যা রোববার পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসে পড়েছিল এবং লেনদেন ছিল ১ লাখ টাকা।

এর বাইরে সোনালি আঁশের লেনদেন ৯ কোটি টাকা, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের লেনদেন সাড়ে ৮ কোটি টাকা, সোনালি পেপারের লেনদেন পৌনে ৭ কোটি টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের লেনদেনও পৌনে ৭ কোটি টাকা বেড়েছে। রোববার এই চার কোম্পানির সাকল্যে ৬ কোটি টাকারও শেয়ার কেনাবেচা হয়নি; কিন্তু সোমবার ৩৭ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বেড়েছে, তার বেশির ভাগই রুগ্‌ণ বা লোকসানি বা বন্ধ কোম্পানি। এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, যদি না কারসাজি হয়। স্বার্থান্বেষী চক্র কোম্পানির অবস্থা দেখে শেয়ার কারসাজি করে না। বরং তারা রুগ্‌ণ, বন্ধ, স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে এ কাজে বেছে নেয়। স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা নির্লিপ্ত থাকায় এরা বছরের পর বছর বেপরোয়া আচরণ করছে। বারবারই এর বলি হয় মুনাফালোভী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা, যাদের শেয়ারবাজার বিষয়ে ধারণা কম।

লেনদেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়লেও দর হারিয়েছে অনেক শেয়ার। গতকাল ডিএসইতে ৬৬ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৮৭টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল আরও ১৬২টির দর। এর মধ্যেও সাত কোম্পানির শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:০৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

bankbimarkhobor.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
মোঃ ইসলাম শেখ
কার্যালয়

৭৯, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড, (৩য় তলা, বাম দিক), সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭

01760742336

[email protected]