শনিবার ১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ

  |   বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   96 বার পঠিত

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ

এছাড়া ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আমদানিযোগ্য আরো কয়েকটি পণ্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে এনবিআর। গত বছরের ২৭ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগের প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে গত রোববার নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এনবিআরের কাস্টমস উইংয়ের এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

আগের প্রজ্ঞাপনের আওতায় কাস্টমস বন্ড লাইসেন্স আছে এমন শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি করতে পারত। বাকিদের ক্ষেত্রে তখনো সুতা আমদানি বন্ধ ছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবার জন্য একই বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে আর কেউ এসব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি করতে পারবে না। অন্য সব বন্দর দিয়ে আগে থেকেই সুতা আমদানি নিষিদ্ধ ছিল।

দেশীয় বস্ত্রকলগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিটিএমএ প্রথমে নিজেদের দাবিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয় এনবিআরে চিঠি দিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য সুতার বড় একটি অংশ আসে ভারত থেকে। মূলত বেনাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি সুতা আমদানি করে বাংলাদেশ। ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপাদিত সুতা কলকাতায় গুদামজাত করা হয়। এরপর সেখান থেকে সুতা বাংলাদেশ পাঠানো হয়।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসা এসব সুতার দাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা সুতার চেয়ে কম হয়। কম দামে সুতা আসায় দেশীয় বস্ত্রকলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিটিএমএর অভিযোগ। সেই সঙ্গে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানির সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এলসির পরিমাণের চেয়ে বেশি সুতা আনা হচ্ছে বলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছিল বিটিএমএ। একই যুক্তি দেখিয়ে চিঠি দেয়া হয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকেও।

এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব স্থলবন্দরকে চিঠি দিয়ে বলে, চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান ও দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে। এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত সুতা ও আলু ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আরো বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফ্যাব্রিকস—এ পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এতে দুর্বল কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় পরচালিত স্থলবন্দরের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণায় সুতা আমদানি বন্ধ হবে। ফলে রাজস্বের সুরক্ষা ও দেশের সুতা উৎপাদনকারী শিল্প সংরক্ষিত হবে। ক্ষতির তেমন কিছু নেই। এতে সুতা ব্যবহারকারী রফতানিমুখী শিল্পের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। অন্যান্য পণ্য আমদানির নিষেধাজ্ঞাও যথার্থ।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

bankbimarkhobor.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

[abm_bangladesh_map]
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক
মোঃ ইসলাম শেখ
কার্যালয়

৭৯, সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড, (৩য় তলা, বাম দিক), সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭

01760742336

[email protected]